(শ্রদ্ধেয় স্যার পুষ্পজিৎ রায় স্মরণে)
গণচিতায় দাহ পৃথিবীর পাপ ।
এমন অবিশ্বাসী সময়ে জোৎস্না স্নাত শ্মশানে কে
আগুনের পরশমণি গান শুনছে।
ঠোঁটে আকন্দ হাসি, দুধসাদা পাঞ্জাবি জোছনায় ভেজা
দেবদারুর মতােন ঋজু দেহ।
ঈশ্বরের কাছে আমি লড়াকু একজন কমরেড
হেরে যেতে চাই নি আজও।
অসময়ের আয়ােজনে তােমাদের পথে রেখে এলাম
কিছু বলার সময় আর কই পেলাম সব অব্যক্ত
শূন্য হৃদয় নিয়ে অনন্ত শূন্যতার দিকে চলে এসেছি
অপূর্ণ কিছু মায়াকুহুক সমীকরণ।
যেতে তাে হয়!! মিছে দুঃখের ঘরবাড়ি গড়া
ওপারের মাস্তুল থেকে ডাক এলে ঘরে থাকা যায় ?
ইব্রাহিম তােমাকে তাে অনেক কথা বলার ছিল
অদেখা একটা বছর তারের ভিতর জড়ানাে অনেক কথা।
বদ্ধ ঘরে যম অন্ধকার। জীবনের কাটাকুটি পাটিগণিত রাখি পায়চারি পথে।
তােমাদের ভালােবাসা কচিঘাসের স্পর্শ পাওয়া হরিণ চোখ
অনেক বিনীত অনুগত বীথি বাগান এইসব ঋণ নিয়ে যাচ্ছি।
অনেক কিছু এখনও বাকি জোয়ারের ঢেউ গুণে গুণে পঞ্চাশ বছর
সংঘ সারণির কত অসমাপ্ত দিনক্ষণ পড়ে আছে
তােমার লেখাটা আমার পকেটে স্নেহের ভাঁজে রাখা।
সাবধানে থেকো।
শুনশান সব কটা পথ গেছে শহর হাসপাতালের দিকে
সেখানে শুনতে পাবে তরুণ অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন।
বাঁচার স্বপ্ন গায়ে মেখে কেন যে চিতা কাঠ কাঁদে!
আমি আছি লড়াইয়ে একটা গণ মিছিলের পথে যেখানে সবুজ অবুঝ
অঙ্গনে নীরােগ পাখিরা ডাকে।
আমি আসবাে জোয়ারের জলে জলে কটালহীন
ফেলে আসা মিছিল বাঁক নিয়ে যাক শহরের গলি
সেদিন তােমাদের জন্যে আমি শ্লোগান দিব।।
অপূর্ব শ্রদ্ধা নিবেদন।