top of page

কবি-গবেষক পুষ্পজিৎ রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা, ৬ মে - বিশিষ্ট কবি অধ্যাপক ও লােকসংস্কৃতি গবেষক ড.পুষ্পজিৎ রায় সাময়িক রােগভােগের পর মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন। বেশ কিছুদিন আগে তিনি করােনায় আক্রান্ত হন। সুস্থ হয়ে বাড়িও চলে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান হয়। বয়স হয়েছিল ৮০। পরিবারে স্ত্রী, দুই পুত্র ও অন্যান্যরা বর্তমান। | কবি অধ্যাপক পুষ্পজিৎ রায়ের জন্ম ১৯৪২ সালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ও মালদহ জেলার গম্ভীরা নিয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন পুরস্কার ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আম্বেদকর পুরস্কারে সম্মানিত হন। এছাড়া জোয়ার পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বাংলা আকাদেমি পুষ্পজিৎ রায়কে সংবর্ধিত করে। শিক্ষা জীবন শেষে মালদহ কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। কৃতিত্বের সাথে অধ্যাপনার পাশাপাশি কবি ও ছড়াকার হিসাবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। জোয়ার সাহিত্য পত্রিকা পঞ্চাশ বছর ধরে সম্পাদনা করেছেন। | সত্তরের দশকে সন্ত্রাস কবলিত পশ্চিমবাংলায় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হন। একই সঙ্গে মালদহ জেলায় সংগঠন গড়ে তােলেন ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। জেলায় গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি সিপিআই (এম)র সদস্যপদ অর্জন করেন এবং আজীবন যুক্ত ছিলেন। ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লােকশিল্পী সঙ্ঘের সদস্য ছিলেন। তিনি গণশক্তি ও নন্দন পত্রিকা সহ বহু লিটল ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মধ্যে গম্ভীরা, মালদহ জেলার লৌকিক ছড়া ও লােকসঙ্গীত, মালদহ জেলার লােকসংস্কৃতি, মালদহ জেলার লােকনাটক। স্ত্রী ও ছড়াকার স্বপ্না রায়কে সঙ্গে নিয়ে তিনি রামকৃষ্ণ পল্লিতে ছােটদের শিক্ষার জন্য ‘সবুজ অবুজ শিশু অঙ্গন' চালু করেছিলেন। | তাঁর প্রয়াণে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের রাজ্য সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শােক প্রকাশ করেছেন। মালদহ জেলার সিপিআই (এম) নেতৃত্ব প্রণব দাস ও রাহুলরঞ্জন দাস এবং লেখক শিল্পী সঙ্গের মালদহ জেলার যুগ্ম সম্পাদক বিকাশকুমার রায় ও গজেন বারুই শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।


তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Comments


bottom of page