top of page

মালদা হারাল সাংস্কৃতিক এক অভিভাবককে

কিছু চলে যাওয়া বুকের ভেতর একটা স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ডক্টর পুষ্পজিৎ রায়ের প্রয়াণ এমনই এক চলে যাওয়া। এটা অপরিণত বয়সের যাওয়া নয়। কিন্তু এটা সত্যি যে, এই রুগ্ন সময়ে তাঁকে বড়ো বেশি দরকার ছিল।


মালদা হারালো তার সাংস্কৃতিক জগতের একজন অভিভাবককে।


মানুষের সুস্থ চিন্তার পরিসরকে প্রসারিত করার প্রয়াসে তিনি সচেষ্ট ছিলেন সবসময়।


যাদের কথা কেউ বলেনা, তাদের কথা তিনি বলেছেন। যাদের কথা কেউ শোনে না, তাদের কথা তিনি শুনেছেন, তার চেয়েও বড়ো কথা শুনিয়েছেন। নিজের সৃষ্টির চেয়েও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন অন্যের সৃষ্টিকে পূর্ণাঙ্গ করে তার সার্থক রূপ দিতে। জহুরী নয়, বরং ক্ষ্যাপার মতো তিনি খুঁজেছেন পরশপাথরকে। যারই মধ্যে তিনি সাহিত্যসৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা উপলব্ধি করেছেন, জল দিয়ে সার দিয়ে সেই সম্ভাবনার কুঁড়িকে করে তুলতে চেয়েছেন মহীরুহ। আর সেই সঙ্গে তাঁর নিরন্তর চেষ্টা ছিল যাতে নানা রঙে, নানা সুগন্ধে মালদার সাহিত্য জগতের বাগানটি যেন আমোদিত থাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা এই অসাধারণ মানুষটিকে।

Comments


bottom of page