প্রায় ১৮ বছর আগেকার কথা। তাই স্মৃতিটা কিছুটা হলেও ঘোলাটে।
সকাল সকাল ভ্যানে করে স্কুলে পৌঁছানো থেকে একে একে প্রেয়ার, দিদিভাইদের নেওয়া ক্লাস, সাদা মেরুণ পোষাকে ঘেরা দিনগুলো খুব কাছের ছিল। সরস্বতী পুজো হতো না ঠিকই, তবুও হাতের লেখা কিছুটা পদস্থ হওয়ায় দেওয়াল লিখনের দায়িত্ব পড়ত; তার ফলস্বরূপ ক্লাসটা কিছুটা হলেও কাটানো যেত। যদিও 'Bunk' বা 'ফাঁকি' কোনো শব্দই আমার অভিধানে তখনও যুক্ত হয়নি।
একবার শ্রুতিনাটকে মন্ত্রীর চরিত্র উপস্থাপনার সুযোগ পেয়েছিলাম আর সাথে বড়দিভাইয়ের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলাম। সবুজ অবুঝেরই এক বাল্য বন্ধুর ফেসবুক পোস্টে বড়দাভাইয়ের স্মৃতি চারণে জানতে পারলাম, বড়দাভাই আরাকানরাজ সেজেছিলেন 'মুকুট' নাটকে তাঁর নিজের কৈশোরে। সবুজ অবুঝে 'মুকুট' নাটকে আমার মতো নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর মানুষও অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিল। ছোট্ট আমাকে সাজানো হয়েছিল রাজধর।
এভাবেই আমাদের নিজেদের অজান্তেই বড়দাভাই বড়দিভাই কখন যেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সত্যি কথা বলতে আমি কোনোকালেই আমার শিক্ষকদের সাথে বেশি interaction-এ যাইনি। আজ দু লাইন লিখতে বসেছি, আমার বেশি না দেখা বড়দাভাই অধ্যাপক ডক্টর পুষ্পজিৎ রায়কে নিয়ে, তিনি হঠাৎ বিদায় নেওয়ার পর। তাঁর সঙ্গে আমি বেশি না মিশে থাকলেও তাঁর আদর্শ মনের মধ্যে ওই স্কুলটির মাধ্যমে ঢুকে গেছে এটা অনুভব করি।
তখন মনে হত, কখন বড় হব আর চার দেওয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীটা দেখব। ভাবনাটা ভুল ছিল। এখন মনে হয়, সবুজ অবুঝ শিশু অঙ্গন আমায় চারদেওয়ালে আটকে রাখল না কেন?
Commentaires