খড়ের চালা দিয়ে একটি বকুল গাছ ঘিরে সবুজ অবুঝ প্রাঙ্গণে পুষ্পজিৎ গড়ে তুলেছিলেন একটি উন্মুক্ত বেদি। নাম দিয়েছিলেন 'বউল বিতান' — শিশুরা খেলত, নাচত, গাইত গান, বানাত মাটির পুতুল, সভা বসত বড়দেরও, সাহিত্যবাসর, আড্ডা — পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, রাজনৈতিক, সাংগঠনিক; খুব ফরমাল, একেবারে অনাড়ম্বর,
অথচ অবারিত ...
পুষ্পজিৎ রায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তিবাদী আধুনিক মননশীল সংস্কৃতিচর্চার ও জীবনচর্যার প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করছে বউল বিতান — প্রাথমিকভাবে একটি অনলাইন কমিউনিটি হিসেবে।
সেই "গুনগুনানি"কে সম্মাননা সংকলন-এ রূপ দান ও প্রকাশ করেছিলেন পুষ্পজিৎ রায়ের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ও গুণমুগ্ধ — বিশেষতঃ অনিমেষ দাস, তনুশ্রী ঘােষ, রবীন্দ্রনাথ পাণ্ডে-র সম্পাদনায় জগদীশ সরকার, বাসন্তী হেমব্রম, অনামিকা পাল ও শাহনওয়াজ পরভীন (ময়না)। তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন গজেন কুমার বাড়ই, বিকাশ রায়, অনামিকা পাল, সন্দীপ বর্মণ।।
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ হিসেবে সঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চিত্ত মণ্ডল, সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণামূলক পত্রিকা ঐকতান -এর সম্পাদক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক নীতীশ বিশ্বাস, কবি ও অধ্যাপক অমল চক্রবর্তী, কবি রথীন্দ্রনাথ ভৌমিক, অধ্যাপক অর্ণব সেন, অধ্যাপক দিগ্বিজয় সরকার, শিক্ষক সতীশচন্দ্র সরকার, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক মহঃ জালালুদ্দিন, গ্রন্থগার কর্মী চন্দন নন্দী, সুকান্ত ভৌমিক, প্রাবন্ধিক শ্যামল মৈত্র এবং স্বপ্না রায়।
আমাদের স্যার নামে সংকলনটি প্রকাশ পায় ১৪১৮-র ১লা বৈশাখ। সংকলনে "কবিতার পুষ্পজিৎ" নামে লেখাটি অনির্বাণ দত্ত শুরু করেন ওপরের কথাগুলি উচ্চারণ করে।
এই ভার্চুয়াল বউল বিতান শুরু হচ্ছে আমাদের স্যার সংকলনটির কাঠামোটিকে ভর করে, মূলতঃ ওঁকে নিয়ে সেই সময়ের লেখাগুলিকে একত্রিত করে। সঙ্গে আছে ওঁর প্রয়াণে উচ্চারিত মানুষজনের শ্রদ্ধার অর্ঘ্য।
ওঁর ব্যক্তিত্বের আঙিনায় একত্রিত হয়ে আমরা ওঁর থেকে সতত আহরণের চেষ্টা করে যেতে চাই। এই প্রয়াস আমাদের প্রাপ্তি, আমাদের কর্তব্য
Comments